নাটোরের গুরুদাসপুরের সফুরা খাতুন হত্যা মামলার সাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার পথে প্রধান সাক্ষী জালাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আসামিরা। জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুুর দেড় টায় মারা যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সফুরা খাতুন হত্যা মামলার সাক্ষী দিতে আদালতে যাচ্ছিলেন জালাল উদ্দিন। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। আদালতে যাওয়ার পথে ওই মামলার আসামিরা তাকে কুপিয়ে হাত কেটে নেয় ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপানো হয়।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় জালালকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের সাফুরা নামের এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়। সেই হত্যা মামলায় আজ আদালতে সাক্ষীর হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল। সকালে জালাল উদ্দিন সাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার পথে যোগেন্দ্র নগর বাজার এলাকায় ওই মামলার আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয়, বাম হাতসহ পায়ের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গুুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জালালের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জালাল।
ওসি মোজাহারুল ইসলাম সাক্ষী জালাল উদ্দিনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।